বুধবার, মার্চ ৩০, ২০১১

মুক্তিযোদ্ধা কোটা অর্ধেক কমিয়ে প্লট বরাদ্দ চূড়ান্ত


ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প:
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অর্ধেক কমিয়ে প্লট বরাদ্দ পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হয়েছে ১৩টি পেশা বা ক্যাটাগরিতে আবেদনের সুযোগ রেখে এই বরাদ্দ পদ্ধতি চূড়ান্ত করে গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ১০ ভাগ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের কোটা আট থেকে বাড়িয়ে ১২ ভাগ করা হয়েছে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথমবারের মতো সরকারি প্লট বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এক ভাগ এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এক ভাগ কোটা রাখা হয়েছে আর সাংবাদিকদের জন্য দুই ভাগ কোটা রাখা হয়েছে, যা প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সমান হারে বণ্টিত হবে সূত্র আরও জানায়, ঝিলমিল প্রকল্পে মন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী/সমমর্যাদাসম্পন্ন/সংসদ সদস্য), বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক (প্রিন্ট ইলেকট্রনিক), সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চাকরিজীবী, সশস্ত্রবাহিনী, ব্যবসায়ী শিল্পপতি, শিল্পী/সাহিত্যিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী, প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত এবং অন্যান্য কোটাসহ মোট ১৩টি কোটা রাখা হয়েছে পদ্ধতি অনুযায়ী, আবেদনকারী বা তার স্বামী বা স্ত্রী/পরিবার/পোষ্যদের নামে বৃহত্তর ঢাকা মহানগরীর আগের ডিআইটি বর্তমানে রাজউকের আওতাধীন এলাকার কোথাও কোনো সরকারি/আধাসরকারি জমি, বাড়ি, প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ বা লিজ দেওয়া হয় তাহলে তারা প্লট পাওয়ার অযোগ্য হবেন উত্তরাধিকার বা ক্রয়সূত্রে কেউ এসবের মালিক হলেও প্লটের জন্য আবেদন করতে পারবেন না শর্ত ভঙ্গ করে কেউ আবেদন করলে জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত হবে পাশাপাশি দেওয়ানি ফৌজদারি আইনের অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে প্লট বরাদ্দের পরও শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেলে বরাদ্দপত্র বাতিলসহ রাজউকের অনুকূলে জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত হবে এর পাশাপাশি দেওয়ানি ফৌজদারি আইনের অধীনে অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে আবাসিক আকারে বরাদ্দকৃত প্লট অনাবাসিক, বাণিজ্যিক কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করা যাবে না জানা যায়, প্লট বরাদ্দ পদ্ধতি অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ২২ ভাগ, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় চাকরিজীবীদের জন্য ১০ ভাগ, সশস্ত্রবাহিনী দুই ভাগ, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ ভাগ, শিল্প-সাহিত্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের জন্য দুই ভাগ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারীদের জন্য ১০ ভাগ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারী এবং অধীনস্থ অধিদফতরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য এক ভাগ, কৃষিবিদদের জন্য দুই ভাগ, প্রকৌশলী/স্থপতি দুই ভাগ, চিকিৎসকদের জন্য দুই ভাগ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এক ভাগ, আইনজীবীদের জন্য দুই ভাগ, অন্যান্য দুই ভাগ এবং সংরক্ষিত কোটা ১০ ভাগ রাখা হয়েছে
সূত্রঃ- বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন